ইসলামের অন্যতম অনিন্দ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে একই সঙ্গে আত্মা ও শরীরের সমন্বয় আছে। ইহকাল ও পরকালকে একই সঙ্গে বিবেচনা করা হয় সমান গুরুত্বের সঙ্গে। বরং ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের পরকালীন সফলতা নির্ভরশীল পার্থিব
কল্যাণময়তার ওপর। এর সুন্দর উপমা আমরা হাদিস শরিফে এভাবে পাই_ 'একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে একজন নারী সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বললেন : ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে খুব নামাজ পড়ে। নফল ইবাদতে সারাক্ষণ ডুবে থাকে। দান-সদকাও করে প্রচুর। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার আচরণ সুন্দর নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন : সে সোজা জাহান্নামে যাবে। প্রসঙ্গক্রমে আরজ করা হলো, আরেকজন মহিলা শুধু ফরজ নামাজগুলো পড়ে। সপ্তাহে এক দিন দান-সদকা করে। তবে তার আচরণে প্রতিবেশীরা খুবই তুষ্ট-তৃপ্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন :সে সোজা বেহেশতে যাবে।' এই হলো ইসলামের ধর্ম-দর্শন। এ কারণেই তওবার দ্বারা শুধু আল্লাহর হক মাফ হয়, মানুষের হক মাফ হয় না। তাই তওবার পরিপূর্ণতার জন্য, আল্লাহর দরবারে পরিপূর্ণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য বান্দাকে মানুষের দলিত সব হক ও অধিকার আগে শোধ করতে হবে। জীবনে যত মানুষের অর্থ-বিত্ত, ইজ্জত-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে, এর মধ্যে যেগুলোর ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব, সামর্থ্য থাকলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা পেতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের অধিকার ইসলামে এক অলঙ্ঘনীয় মর্যাদাপূর্ণ বিষয়।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, 'একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছেন, সঙ্গে আমি। লক্ষ্য করলাম, তিনি আবেগমথিত কণ্ঠে বাইতুল্লার দিকে তাকিয়ে বলছেন : হে কাবা! নিশ্চয় তোমার মর্যাদা মহান! তুমি অনুপম পবিত্র ঘর। তবে তোমার চেয়েও মর্যাদাবান আরেকটি বিষয় আছে! হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনতেই আমি চকিত হলাম। আল্লাহর ঘরের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান এই পৃথিবীতে আর কী আছে? শুনলাম তিনি ইরশাদ করছেন : হে কাবা! তোমার চেয়েও অধিক মর্যাদাবান হলো মানুষের জীবন, মানুষের সম্ভ্রম!' এই মানুষের জীবন ও সম্ভ্রমকে দলিত করে কি আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়া যাবে? ক্ষমার এই দশকে এ কথাও ভাবতে হবে আমাদের।
লেখক : নাযেমে তা'লিমাত জামিয়াতুল উলুমিন ইসলামিয়া, ঢাকা। খতিব, সিঅ্যান্ডবি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ, ঢাকা।
কল্যাণময়তার ওপর। এর সুন্দর উপমা আমরা হাদিস শরিফে এভাবে পাই_ 'একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে একজন নারী সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বললেন : ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে খুব নামাজ পড়ে। নফল ইবাদতে সারাক্ষণ ডুবে থাকে। দান-সদকাও করে প্রচুর। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার আচরণ সুন্দর নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন : সে সোজা জাহান্নামে যাবে। প্রসঙ্গক্রমে আরজ করা হলো, আরেকজন মহিলা শুধু ফরজ নামাজগুলো পড়ে। সপ্তাহে এক দিন দান-সদকা করে। তবে তার আচরণে প্রতিবেশীরা খুবই তুষ্ট-তৃপ্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন :সে সোজা বেহেশতে যাবে।' এই হলো ইসলামের ধর্ম-দর্শন। এ কারণেই তওবার দ্বারা শুধু আল্লাহর হক মাফ হয়, মানুষের হক মাফ হয় না। তাই তওবার পরিপূর্ণতার জন্য, আল্লাহর দরবারে পরিপূর্ণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য বান্দাকে মানুষের দলিত সব হক ও অধিকার আগে শোধ করতে হবে। জীবনে যত মানুষের অর্থ-বিত্ত, ইজ্জত-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে, এর মধ্যে যেগুলোর ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব, সামর্থ্য থাকলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা পেতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের অধিকার ইসলামে এক অলঙ্ঘনীয় মর্যাদাপূর্ণ বিষয়।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, 'একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করছেন, সঙ্গে আমি। লক্ষ্য করলাম, তিনি আবেগমথিত কণ্ঠে বাইতুল্লার দিকে তাকিয়ে বলছেন : হে কাবা! নিশ্চয় তোমার মর্যাদা মহান! তুমি অনুপম পবিত্র ঘর। তবে তোমার চেয়েও মর্যাদাবান আরেকটি বিষয় আছে! হজরত আনাস (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনতেই আমি চকিত হলাম। আল্লাহর ঘরের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান এই পৃথিবীতে আর কী আছে? শুনলাম তিনি ইরশাদ করছেন : হে কাবা! তোমার চেয়েও অধিক মর্যাদাবান হলো মানুষের জীবন, মানুষের সম্ভ্রম!' এই মানুষের জীবন ও সম্ভ্রমকে দলিত করে কি আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়া যাবে? ক্ষমার এই দশকে এ কথাও ভাবতে হবে আমাদের।
লেখক : নাযেমে তা'লিমাত জামিয়াতুল উলুমিন ইসলামিয়া, ঢাকা। খতিব, সিঅ্যান্ডবি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ, ঢাকা।
0 comments:
Post a Comment